গর্ভাবস্থায় যত কুসংস্কার ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

‘মা’ হওয়ার খবরটা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গর্ভের সন্তানের সুরক্ষার জন্য গর্ভবতী নারী অর্থাৎ মায়েদের শুরু হয় সচেতনতা, সতর্কতা আর নিজের খেয়াল রাখার পালা। যেহেতু গর্ভস্থ সন্তানের একবারে শুরুর সময়, তাই মাকে থাকেন অনেক বেশি তটস্থ। কিন্তু বললেই তো আর সতর্ক হওয়া যায় না! কারণ অনেক ক্ষেত্রেই মায়েরা বুঝতেই পারেন না যে, কী হচ্ছে বা কী হতে পারে।

অনেকেরই নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণাই থাকে না। ফলে মেলতে থাকে নানা কুসংস্কারের ডালপালা। গর্ভকালীন নানা কুসংস্কার, গুজব উড়ে আসে নানা দিক থেকে। বিশেষ করে আমাদের দেশে এই কুসংস্কারের প্রভাব অনেক বেশি। এটি মোটেও বিজ্ঞানসম্মত কোনো বিষয় নয়। বিস্তারিত লিখেছেন— ডা. হাসনা হোসেন আঁখি

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা জন্মদানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের দেশে নানা ধরনের কুসংস্কার বা মিথ প্রচলিত আছে। গর্ভকালীন একজন নারী তার পরিবারের অনেকের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ পাবেন। এসবের মধ্যে কিছু পরামর্শ সঠিক হলেও, আবার কিছু পরামর্শ থাকে যা বিজ্ঞানসম্মত নয়। এসবের কোনো কোনোটি মেনে চললে মা ও শিশুর ক্ষতিও হতে পারে।

  • গর্ভবতীর পেটের আকৃতি দেখে গর্ভের শিশু ছেলে না মেয়ে তা কি বোঝা সম্ভব?

গর্ভাবস্থায় পেট নিচের দিকে বড় হলে ছেলে এবং ওপরের দিকে বড় হলে বা উঁচু হলে মেয়ে সন্তান হবে— এমনটা অনেকে বলে থাকেন। এ ধারণার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। একজন নারী যতবার গর্ভধারণ করেন, তার পেটের পেশিগুলো ততবেশি প্রসারিত হয়। তাই কেউ প্রথমবার গর্ভধারণ করলে গর্ভাবস্থায় তার পেট হয়তো খুব বেশি নিচে নামে না। এমনকি উঁচু হয়েও থাকতে পারে। এ ছাড়া কারও পেটের পেশিগুলো অপেক্ষাকৃত শক্ত হলে তার বাড়ন্ত পেট কিছুটা উঁচু হয়ে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তার গর্ভের শিশু ছেলে অথবা মেয়ে যে কোনোটিই হতে পারে।

  • গর্ভের শিশুর হার্টরেট গুণে শিশুটি ছেলে না মেয়ে তা বোঝা যায়

এ ধারণাটি ভুল। জন্মের পর ছেলের চেয়ে মেয়ে সন্তানের হার্টরেট সাধারণত বেশি হয়। গর্ভে থাকাকালীন ছেলে ও মেয়ে শিশুর হার্টরেটে তেমন কোনো পার্থক্য থাকে না। ছেলে কিংবা মেয়ে হোক, গর্ভকালের একেক পর্যায়ে গর্ভের শিশুর হার্টরেট একেক রকম হয়। যেমন, গর্ভাবস্থার পঞ্চম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর হার্ট মিনিটে ৮০-৮৫ বার স্পন্দিত হয়। এটি নবম সপ্তাহের প্রথমদিক পর্যন্ত বাড়তে বাড়তে মিনিটে ১৭০-২০০ হার্টবিটে পৌঁছে। এরপর হার্টরেট কমতে শুরু করে। গর্ভাবস্থার মাঝামাঝি সময়ে এটা কমে দাঁড়ায় মিনিটে ১২০-১৬০ হার্টবিট (গড়) পর্যন্ত। প্রসবের সময়ে ছেলে ও মেয়ে শিশু উভয়ের হার্টবিট থাকে মিনিটে ১২০-১৬০।

  • গর্ভাবস্থায় বমিভাব বেশি হলে গর্ভের শিশু মেয়ে হয়

শুনতে অবাক লাগলেও এই ধারণা সত্য হতে পারে। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব গর্ভবতী মেয়ে শিশু অথবা যমজ শিশু ধারণ করেন, তাদের গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বেশি। এর সম্ভাব্য কারণ, গর্ভে মেয়ে শিশু থাকলে এইচসিজি হরমোনের পরিমাণের তারতম্যের কারণে গর্ভবতীর বমি বমি ভাব বাড়তে পারে। তবে এ তথ্যটি এখনো শক্তভাবে প্রমাণিত হয়নি।

  • গর্ভাবস্থায় মা ও অনাগত শিশু দুজনের সমপরিমাণ খাবার খেতে হয়

এ কথারও কোনো ভিত্তি নেই। বরং এ পরামর্শ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কতটুকু খাবার বেশি খেতে হবে তা বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন: গর্ভবতীর ওজন, উচ্চতা, দৈনিক কী পরিমাণ কাজ করছেন অথবা গর্ভাবস্থার কততম মাস চলছে। গর্ভকালীন প্রথম তিন মাসে সাধারণত বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় না। তবে এর পরের মাসগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি খাবার খেতে হবে। এ সময়ে একই ধরনের খাবার বেশি পরিমাণে না খেয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে পুষ্টি মেটানো উচিত।

  • গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার খেলে গর্ভপাত হবে

টক জাতীয় খাবারের সঙ্গে গর্ভপাতের আসলে কোনো সম্পর্ক নেই। বরং টক জাতীয় খাবার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, এতে অনেক ধরনের খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে। যা মুখের স্বাদ ও রুচি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তবে বেশি টক খেলে হাইপার এসিডিটির সমস্যা হতে পারে।

  • গর্ভাবস্থায় পেঁপে ও আনারস খেলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে

গর্ভাবস্থায় সাধারণত বেশি বেশি ফলমূল খেতে উত্সাহিত করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন, গর্ভাবস্থায় কাঁচা অথবা আধাকাঁচা পেঁপে না খাওয়াই ভালো। কাঁচা পেঁপেতে উচ্চমাত্রায় ল্যাটেক্স থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, ল্যাটেক্স জরায়ুর মাংসপেশির সংকোচন দ্রুত করে থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কাঁচা পেঁপে খেলে সেটি গর্ভের শিশুর জন্য নিরাপদ না-ও হতে পারে। তবে পাকা পেঁপে খেতে কোনো সমস্যা নেই। অন্যদিকে অনেকের ধারণা, আনারস খেলে গর্ভপাত হয়। এর পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া সাধারণত নিরাপদ। আনারসে প্রচুর পানি থাকে। সেই সঙ্গে থাকে ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি। ভিটামিন বি৬ ব্রেইন ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সাহায্য করে, আর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে এবং হাড় ও মাংস শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তবে একেবারে অনেক বেশি আনারস না খাওয়াই ভালো, এর ফলে বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে।

  • গর্ভাবস্থায় খাসির মাংস খেলে বাচ্চার শরীর থেকে বাজে গন্ধ বের হবে

এটিও সত্য নয়। খাসির মাংস প্রোটিন ও আয়রনের উত্কৃষ্ট উত্স। এসবের চাহিদা মেটাতে গর্ভবতীর ভালোমতো সিদ্ধ করা খাসির মাংস খাওয়ায় কোনো বাধা নেই। তবে গরু, খাসি ও ছাগলের মাংসে তুলনামূলকভাবে বেশি চর্বি থাকে। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেলে মায়ের ওজন বাড়ার পাশাপাশি হার্টের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই গরু-খাসির মাংস অনেক বেশি না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে খাবেন। খাওয়ার সময়ে চর্বি ছাড়া মাংসের টুকরা বেছে নেয়ার চেষ্টা করবেন। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে খাসির মাংসের পাশাপাশি মাছ, ডিম, ডাল ও মুরগির মাংস বেছে নিতে পারেন।

  • গর্ভাবস্থায় যমজ কলা খেলে যমজ সন্তান হবে

এর স্বপক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কিছু বিষয় যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে কিংবা কমাতে পারে। যেমন, ৩৫ বছরের পরে গর্ভধারণ করলে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কৃত্রিমভাবে গর্ভধারণের ক্ষেত্রেও যমজ সন্তান হওয়ার ঘটনা বেশি দেখা যায়। পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের সাথেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে। বিশেষ করে যারা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার বেশি খান, তাদের মাঝে যমজ সন্তান হওয়ার ঘটনা বেশি দেখা গেছে। এ ছাড়া উচ্চতা, ওজন ও জেনেটিক কারণেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে কিংবা কমতে পারে।

  • গর্ভাবস্থায় এক্সারসাইজ করা উচিত নয়

গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ব্যায়াম করা নিরাপদ। গর্ভাবস্থায় শরীরচর্চা করলে সেটি মা ও গর্ভের শিশুর জন্য উপকারী হতে পারে। তাই বিশেষ কোনো স্বাস্থ্য জটিলতা না থাকলে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ব্যায়াম করা চালিয়ে যাওয়া যায়। পছন্দের অনেক ব্যায়াম এ সময়ে নিরাপদে চালিয়ে যেতে পারবেন। যেমন- দ্রুত হাঁটা, সাইক্লিং, ইয়োগা ও সাঁতার। এ ছাড়া আগে থেকে ভারি ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেটাও চালিয়ে যেতে পারেন। তবে এ সময়ে নতুন করে ভারি ধরনের কোনো ব্যায়াম শুরু না করাই ভালো। সেই সঙ্গে যেসব এক্সারসাইজ করলে গর্ভবতীর পড়ে যাওয়ার অথবা আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি থাকে (যেমন: বক্সিং, ব্যাডমিন্টন ও কারাতে) সেগুলো এ সময়ে এড়িয়ে চলা উচিত। গর্ভাবস্থায় ঠিক কোন ধরনের এক্সারসাইজগুলো নিরাপদ তা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নির্ধারণ করে নিতে পারলে ভালো।

  • মর্নিং সিকনেস শুধু সকালেই হয়

‘মর্নিং সিকনেস’ বলতে গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব ও বমি হওয়াকে বোঝায়। নামের মধ্যে ‘মর্নিং’ থাকলেও এটা যে শুধু সকালেই হবে তা নয়। দিনের যে কোনো সময়েই বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মর্নিং সিকনেস দেখা দেয়। সাধারণত গর্ভাবস্থার একদম প্রথম দিকেই (৪ থেকে ৭ সপ্তাহের ভেতর) এ সমস্যা দেখা দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে বমি বমি ভাব নিজে থেকেই কমে আসে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এ সময়ের পরেও এমনকি পুরো গর্ভকাল জুড়ে বমি বমি ভাব অথবা বমি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় খুব বেশি বমি বমি ভাব অথবা বমি হলে তা মর্নিং সিকনেস নয়, বরং হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম রোগের লক্ষণ হতে পারে। এমন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।

  • গর্ভাবস্থায় প্লেনে ওঠা যাবে না

এটাও ভুল ধারণা। সুস্থ গর্ভবতীদের জন্য সীমিত সংখ্যক বার প্লেনে ভ্রমণ করা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরাপদ। প্রায় সব এয়ারলাইন গর্ভাবস্থার ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভবতী নারীদের প্লেনে ওঠার ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করে না। তবে ভ্রমণের আগে জেনে নিন এয়ারলাইনে কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করছে কি না। যদি এমন কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা বা গর্ভকালীন জটিলতা থাকে যা প্লেনে ভ্রমণের কারণে খারাপের দিকে যেতে পারে, তাহলে প্লেনে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন। প্লেনে এয়ার প্রেশার কম থাকার কারণে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে এতে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ আমাদের শরীর এ পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এ ছাড়া প্লেনে জার্নির সময় আমরা অনেক উঁচুতে উঠি, যেখানে রেডিয়েশনের সঙ্গে সংস্পর্শ বাড়ে। এতেও দুশ্চিন্তার কারণ নেই। যদি ঘন ঘন প্লেনে যাতায়াত করেন তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে জেনে নিন, কতটুকু প্লেনে যাতায়াত আপনার জন্য নিরাপদ।

তবে প্লেনে যাতায়াতের সময় নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলুন

▶ মাঝে মাঝেই পা ও পায়ের আঙ্গুল নাড়াচাড়া করুন। সম্ভব হলে উঠে দাঁড়ান। লম্বা ফ্লাইট হলে কয়েকবার হাঁটা-চলা করার চেষ্টা করুন।
▶ সম্ভব হলে প্যাসেজওয়ের পাশের সিট বেছে নিন। এতে দীর্ঘ ফ্লাইটের সময় উঠে দাঁড়িয়ে পা সোজা করা ও হাঁটতে সুবিধা হবে।
▶ গ্যাস হয় এমন খাবার ও কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে প্লেনে জার্নির সময় পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হয়ে অস্বস্তি লাগতে পারে।
▶ গর্ভাবস্থার একদম শেষদিকে অথবা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সন্তান প্রসব হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলে, গর্ভবতীর প্লেনে ওঠা অথবা দূরের ভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।

  • গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে না

এটাও সঠিক নয়। গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ কিনা সে ব্যাপারে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে। বিশেষ করে গর্ভবতীর প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাসে সহবাস করলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করে থাকেন। এ ধারণাটি সঠিক নয়। গর্ভকালীন যদি কোনো জটিলতা না থাকে এবং ডাক্তার আপনাকে এ সময়ে সহবাস করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ না দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় সহবাস করা আপনার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। এতে সাধারণত গর্ভের সন্তানের কোনো ধরনের আঘাত পাওয়ার অথবা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে (যেমন-জরায়ুমুখে দুর্বলতা থাকলে) ডাক্তার আপনাকে গর্ভাবস্থায় সহবাস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিতে পারেন। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হলেও সহবাস থেকে বিরত থাকবেন এবং রক্তপাতের বিষয়ে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। যোনিপথে রক্তপাত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে আবারও নিরাপদে সহবাস করতে পারবেন।

  • চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ হলে গর্ভবতীর বাইরে যাওয়া ও খাওয়া নিষেধ

চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী বাইরে গেলে, ধারালো কিছু নিয়ে কাজ করলে অথবা খাওয়া-দাওয়া করলে গর্ভের শিশু বিকলাঙ্গ হয়— এগুলো বহুল প্রচলিত ধারণা। এসবের পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই সূর্যগ্রহণ অথবা চন্দ্রগ্রহণ হলেই গর্ভবতীর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বরং এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ গর্ভকালীন নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক: ফার্টিলিটি কনসালট্যান্ট ও গাইনোকলজিস্ট, বিআইএইচএস জেনারেল হসপিটাল, মিরপুর-১ ঢাকা।

Your Ads

Ready to take your business to the next level?

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Your Ads

Ready to take your business to the next level?